লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী (৭২) কে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের টংটিংডাঙা এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৬নং সেক্টরের প্রধান সংগঠক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর সহচর সাবেক সাংসদ আবেদ আলীর ছোট ভাই। মুজিব বাহিনীর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রুহুল আমিন বাবুল নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীর ভাগ্নে।
নিহতের পরিবার, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানান, পাটগ্রাম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাহেবডাঙা এলাকায় নিজ বাড়ীর সামনে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে গলা কেটে পালিয়ে যায়। এ সময় এক রিকশাচালক তাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পাটগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রুহুল আমিন বাবুল বলেন, তার (ওয়াজেদ) কোনো শত্রু ছিল না। কেন, কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে, আমরা অনুমান করে কিছু বলতে পারছি না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং অপরাধীদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যার ঘটনায় যদি অবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হয়। তাহলে কঠিন ও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবে মুক্তিযোদ্ধারা।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।