তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার ৪শত ৭৬টি গ্রাম ও ৩শত ৫৪টি মৌজার জনজীবন। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও রাতে মেঘ আর কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, মালদহ, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীর চরাঞ্চলগুলোতে হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। জীবনযাত্রা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাট জেলার তাপমাত্রা ২২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাত ৮টার পরে আবহাওয়ার অর্ধেকে নেমে আসে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, লালমনিরহাট জেলায় বোরো রোপণের ভরা মৌসুম চলায় তীব্র শীত উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণির খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষরা। শৈত্য প্রবাহের মধ্যেই বীজতলা থেকে চারা উত্তোলনসহ কাদা পানিতে নেমে চারা রোপণ করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। শীতে জড়োসড়ো হয়েই কাজে বের হয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
অপরদিকে, সাধারণ মানুষকে দেখা গেছে শীত নিবারনের জন্য খড়, কুটো দিয়ে আগুন তাপাতে।