জামাত নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কওমি মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর দিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু।
থানায় মামলা হয়েছে তবুও রক্ষা হয়নি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্ধারিত জমি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ মন্ত্রী পুত্রের বিতর্কিত কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। বিজয়ের মাসে মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশত বর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে বির্তক সৃষ্টি রাজাকারদের প্রেত্মাতার কাজ।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্ষে আশ্রয়ণের জন্য জমি বরাদ্দকৃত করা হয়। জমিটি সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত। এই জমিতে মুজিববর্ষের আশ্রয়ণের ২টি ঘর ও ১টি গণশৌচাগার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নির্মাণ করে। মুজিববর্ষেও ঘর নির্মাণে বাঁধা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল বাঁধা দেয়। এই ঘটনায় ৭ মে কালীগঞ্জ থানায় মামলা হয়।
পুলিশ মামলায় চার্জ গঠন করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। এতে করে মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ আদালতের আদেশে আসবে বলে আইনজীবী ও স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে। তার আগেই ঐ জমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) কওমি (হাফিজিয়া) মাদ্রাসার নির্মাণের ভিত্তি দেয়। এই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার ভিত্তি দেয়ার সময় লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এ কে এম মঈনুল হককে পাশে দেখা গেছে।
এদিকে যেখানে মুজিব বর্ষে ২০টি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে ছিল। ২টি পরিবারের ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয়। সে খাস জমিতে ব্যক্তি নামে কওমি মাদ্রাসা নির্মাণকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণে বাধা ও চ্যালেন্স হিসেবে দেখছে। বিএনপি-জামাত এটাকে বিজয় হিসেবে নিয়েছে।
এ ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, নিচু জমি হওয়ায় মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ আপাতত স্থগিত রয়েছে। এই খাস জমি কোন মাদ্রাসা নির্মাণে এখনওো কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কে কিভাবে সেখানে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানলাম খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ইউএনওকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী মৌজার হাজিরহাট এলাকার ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৫১৯২ দাগে ২২শতক, ৫১২৮ দাগে ৫৩শতক এবং ৫১১৯ দাগে ১১শতক মোট ৮৬শতক জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০টি মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয়। ২টি পরিবারের ঘর ও একটি গণ শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। ২টি গরীব অসহায় পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পায়। তারা বসবাস করতে গেলে হুমকি দেয় একটি কুচক্রি মহল। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যাহার স্বারক নাম্বর ৫১.০১.৫২০০.০০০.২৭.০০৩.১৪.১৭২।