লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র রাফে আহমেদকে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৩০মিনিটে কৃষি শিক্ষা ক্লাস চলাকালীন সময়ে মারধর করে আহত করলেন ঐ স্কুলের শিক্ষক হ্যাপি।
পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমিনুল হক কোয়েল সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র রাফে আহমেদের সাংবাদিকদের বলেন, বেঞ্চ থেকে আমার কলম নিচে পড়ে যাওয়ায় ওই কলম তুলতে গিয়ে স্যার আমাকে লাঠি দিয়ে মাইর দেয়। সে জানায় তার কিডনীর সমস্যা তার গায়ে হাত দেওয়া নিষেধ করেছে ডাক্তার এটা জানা সত্ত্বেও তিনি এভাবে মেরেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাংবাদিকদের বলেন, বাচ্চাটি অসুস্থ্য ছিল সেটি আমি জানতাম না। এ বিষয়ে আমিও অনুতপ্ত, শুনেছি ওই শিক্ষার্থীকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। আমি সেখানে দেখতে যাচ্ছি। আর এ রকমটা হবে এর আগে আমি জানতাম না।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমন সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি আমি পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুককে জানিয়েছি বিষয়টি তিনি দেখবেন।
উল্লেখ্য যে, সরকার ও হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে শাস্তি দেওয়া যাবেনা”।
সেই সঙ্গে ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ১১ ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে সরকার।
এর পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১ জারি করে।