লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবু ছায়েদ আলী-এর বিরুদ্ধে শতাধিক বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত এলাকার ২৩জন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন ইউপি সদস্য মোঃ আবু ছায়েদ আলী ও তার সহযোগীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকার সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বয়স্ক, বিধবা ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নামে একটি প্রকল্প চালু করে। প্রকল্প চালু হওয়ার পর ভাতাভুক্তদের তালিকা করে প্রতি মাসে ৫শত থেকে ৭শত টাকা হিসাবে ৩মাস পর পর তাদের প্রাপ্য ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ জন্য উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবু ছায়েদ আলী তার ওয়ার্ডসহ অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের থেকেও শতাধিক বয়স্কভাতা-প্রতিবন্ধীভাতা ও সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে প্রায় ৮ থেকে ১০লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন।
আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীদের হুমকি ও নানা হয়রানি করেন এবং অনেকের ভোটার আইডিতে বয়স কম হলেও বয়স বাড়িয়ে বয়স্ক ভাতার নামে টাকা নেন পরে সেই ভোটার আইডি পর্যন্ত আটকিয়ে রেখেছেন বলে গ্রামবাসীরা জানান।
এদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের শফিকুল মিয়া, জহিরুল মিয়ার হতে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য ৬০হাজার টাকা নেন, এছাড়া বয়স্ক ভাতার নামে শ্রী প্রফুল্ল কুমার রায়, রেজিয়া বেগম, আব্দুর রহিম, নুর জামাল, ফজলুল হক, সাদেক আলী, শুকর আলী, হযরত আলীসহ একশর অধিক ভুক্তভোগীদের আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত এবং বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা অফিসার (রেজিঃ) উম্মে সালমা রুমা সাংবাদিকদের বলেন, এই অভিযোগ শুনেছি এবং এজন্য গতকাল মিটিং করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি সদস্য ছায়েদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।