শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত
টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুর মুকুল চন্দ্র

টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুর মুকুল চন্দ্র

লালমনিরহাটে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে মুকুল চন্দ্র (৪৫) নামের এক শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুরের।

 

স্বামীর চিকিৎসার অর্থ জোগাতে এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা। মুকুল চন্দ্র লালমনিরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার মৃত সুবল চন্দ্র রায়ের পুত্র।

 

মুকুল চন্দ্রের স্ত্রী ও এলাকাবাসী জানান, মুকুল একজন দিন মুজুর সে মিষ্টির ও হোটেলে দিনমজুরের কাজ করতো, প্রায় ১বছরের বেশি সময়র পঙ্গু হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

 

মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা জানান, ১বছরে বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমরা নিঃস্ব, এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। বাড়ি ভিটে ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। চিকিৎসক জানিয়েছ ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হলে রোগী ভালো হয়ে আগের ন্যায় কাজ-কর্ম করতে পারবে।

 

প্রতিবেশী মুহিন রায় বলেন, মুকুল রায় আমার প্রতিবেশী বড় দাদা, মুকুলদার খুব দরিদ্র, দুই মেয়ে এবং ৮বছরের ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। সংসারে সে একমাত্র উপার্জনকারী, তিনি অসুস্থ্য হওয়ার পর মানবেতর দিন কাটাচ্ছে আমরা যে যার সাধ্যমত সাহায্য করছি।

 

প্রতিবেশী অরুন কুমার রায় জানান, মুকুল জেলার প্রদীপ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ শহরের বিভিন্ন হোটেলে বয়ের (মেসিয়ার) কাজ করেছে ওর দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছ এবং তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। মুকুলের ছাড়া সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়, আমি মুকুলকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম ডাক্তার জানিয়েছে এটি ঢাকায় চিকিৎসা করাতে হবে এবং এর চিকিৎসা করলে ভালো হবে। আর চিকিৎসা ব্যয় বহুল হওয়ায় পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যে করার জন্য অনুরোধ করছি।

 

আরেক এলাকাবাসী বলেন, মুকুলের পরিবারের কষ্ট দেখলে আমাদেরও খারাপ লাগে। আমাদেরও নুন আনতে পানতা ফুরায়। ইচ্ছে থাকলেও সাহায্য করতে পারি না। প্রতিবন্ধী ভাতার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ এবং সমাজের বৃত্তবানরা চিকিৎসার ব্যবস্থা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করছি। সহায়তায় করতে- ০১৭৪০০২৮৫০৫ (মুকুল রায়) বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করলেন উপকৃত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone